Showing posts with label বিশিষ্টজনের মতামত. Show all posts
Showing posts with label বিশিষ্টজনের মতামত. Show all posts

Friday, December 27, 2019

গোলাম আজমের রুপরেখা বাস্তবায়ন হল বাংলাদেশ, নেপাল, পাকিস্তান, তিউনিশিয়ার পর তুরস্কেও - সাংবাদিক নুরুল কবির



(নুরুল কবীর একজন বাংলাদেশী সাংবাদিক, লেখক, কলাম লেখক, সম্পাদক এবং কর্মী। তিনি দ্য নিউ এজের সম্পাদক। নৈর্বাচনিক স্বৈরতন্ত্র ও গণতন্ত্রের সংগ্রাম এবং দ্য রেড মাওলানা তার দুটি আলোচিত বই।)

বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে নন্দিত এবং নিন্দিত একটি নাম গোলাম আজম । আমি ব্যক্তিগত ভাবে তাকে চিনি না । খুব কাছ থেকে দেখার সুযোগ আমার হয়নি । তবে তার লেখা অনেক বই পড়েছি ।  তার মেধার তুলনা তার বই । ছোটবেলা থেকেই আর নয় জন বাংলাদেশীর মত আমিও তাকে ঘৃণা করেই বড় হয়েছি হলুদ মিডিয়ার কল্যাণে । “আর নয়জন” বললাম একারনে দশজনের একজন তার বা তার আদর্শেরপক্ষে ছিল ।ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা “র” এর এক জরিপ ছিল এমন যে “শতকরা ২৫ জন জামায়াতের সমর্থক বাংলাদেশে” ২০০৯ এর পরে তাকে/ তাদের সম্পর্কে জানার সুযোগ হয় আমার । এখনও কম বেশী জানার চেষ্টা করছি । আমি সব সময় বিতর্কিত মানুষকে পছন্দ করতাম যারা দেশ ব্যাপি বিশ্বব্যাপি বিতর্কিত এমন সব লোক । আমার লজিক পৃথিবীর সব বহুল বিতর্কিত ব্যক্তিরাই ছিল জ্ঞানী , স্বরণীয়, বরণীয় ।সেটা হিটলার থেকে মুছোলিনী, চেঙ্গিস খান থেকে নেপোলিয়ান, শেখ মুজিব থেকে গোলাম আজম । আজকের বিষয় গোলাম আজম ।

মেধাবী চৌকস ও অভাবনীয় নেতৃত্বের গুণাবলীসম্পন্ন ক্ষণজন্মা মানুষটি ১৯২২ সালে ঢাকার লক্ষ্মীবাজারে নানার বাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিএ এবং রাষ্ট্রবিজ্ঞানে এমএ পাস করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নকালে সম্পৃক্ত হন ছাত্র আন্দোলনের সাথে। ১৯৪৭-৪৮ ও ৪৮-৪৯ সালে পরপর দু’বছর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু)-এর জিএস (জেনারেল সেক্রেটারি) হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ৫২ সালের ভাষা আন্দোলনে সক্রিয় অংশ নিয়ে পাকিস্তান সরকার ৫২ সালের ভাষা আন্দোলনে সক্রিয়অংশ নিয়ে পাকিস্তান সরকার কারা নির্যাতিত হন। এই মহান নেতা ঐতিহাসিক ভাষা আন্দোলনের অন্যতম সংগঠক ছিলেন। শেখ মুজিব কর্তৃক ’৬৬ সালের ছয় দফা দাবি তৈরিতে অংশ নেয়া ২১ সদস্যের অন্যতম।

১৯৫০ থেকে ১৯৫৫ সাল পর্যন্ত তিনি রংপুর কারমাইকেল কলেজে অধ্যাপনা করেন। ১৯৫৪ সালে যোগদান করেন জামায়াতে ইসলামীতে এবং প্রত্যক্ষভাবে শুরু করেন রাজনৈতিক জীবন। অখ- পাকিস্তানে ১৯৫৫ থেকে ১৯৭১ সাল পর্যন্ত সকল গণতান্ত্রিক আন্দোলনে অংশগ্রহণ করেন। কপ (কম্বাইন্ড অপজিশন পার্টি) পিডিএম (পাকিস্তান ডেমোক্রেটিক মুভমেন্ট) এর সেক্রেটারী জেনারেলের দায়িত্ব পালন করেন।  ডাক (ডেমোক্রেটিক এ্যাকশন কমিটি) ইত্যাদি আন্দোলনে জনাব শেখ মুজিবুর রহমানসহ অন্য সকল দলের নেতাদের সাথে অংশগ্রহণ করে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন। রাজনৈতিক কারণে ১৯৬৪ সালেও তাকে কারাবরণ করতে হয়েছিল ।

১৯৪৮ সালে পাকিস্তানের প্রথম প্রধানমন্ত্রী লিয়াকত আলী খান ঢাকায় আসেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জিমনেসিয়াম মাঠে ছাত্রদের উদ্দেশে ভাষণ দেন। তাকে ২৭ নবেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রসমাজের পক্ষ থেকে রাষ্ট্রভাষা বাংলার দাবি সংবলিত একটি ঐতিহাসিক স্মারকলিপি প্রদান করা হয় যার নেতৃ্ত্ব দেন গোলাম আজম ।

তার ছোট্ট একটা বর্ণনা দিলাম এ কারনে তার সত্য সম্পর্কে আমরা খুব কম জেনেছি । ৯১ বছর বয়সে ৯০ বছর সাজা পাওয়া এ মানুষটি সম্পর্কে জানা উচিৎ আমাদের নতুন প্রজন্মের । ৭১ এর মহান মুক্তিযু্দ্ধ নিয়ে তাকে সবচেয়ে বিতর্কিত হতে হয়েছে । যারা ৪৭ এর দেশ ভাগ দেখেছে । দেখেছে বিশাল ভারতের নোঙরামি । কিভাবে ছোট ছোট দেশ গুলোকে নপুংশুক এর মত গিলে খেতে (উদা: স্বাধীনদেশ "সিকিম") তাদের পক্ষে ৭১এ সিদ্ধান্ত নেয়া কঠিন ছিল । ১৯৪ বছর ইংরেজদের কাছে পরাধীন থাকার পর যে মুসলিমরা আলাদা দেশ পেল সে দেশ আবার হাত ছাড়া হয়ে যাবে ,ভাগ হয়ে যাবে । এটা মানতে পারছিল না তারা । যেমন মানতে পারছিল না সদ্য পাওয়া নতুন দেশ পাকিস্তানের সাশকদের অত্যাচার ও । ইন্দিরা গান্ধিরা যখন বার বার এ কথা বলে বেড়ােতা সভা সমাবেশে "মাথার এক পাশে ব্যাথা থাকলে বাঁচা জায় কিন্তু মাথার দুই পাশে ব্যাথা নিয়ে ঘুমানো মুশকিল" ভারতের দুই পাশে দুই মুসলিম দেশ পূর্ব ও পশ্চিম পাকিস্তান কে উদ্ধেশ্য করে ছিল এমন বক্তব্য। 
 তার জানাজা নামাজের দিন গিয়েছিলাম, যুদ্ধাপরাধের দায়ে অভিযুক্ত একজন মানুষের এমন শোক মিছিল দেখে আমার মত অবাক হয়েছিল এ দেশের সকল গনমাধ্যম,বিশ্বমিডিয়া । বহুল বিতর্কিত ছিল তার অভিযোগ । ট্রেয়াল দেয়া শাক্ষি । ৪৩ নাম্বার আসামির যদি ৯০ বছর সাজা হয় তাহলে বাকি ৪২ জনের নামও কেন জাতি জানেনা । নতুন প্রজন্মের কাছে আজীবন এটা কৌতুহল থেকে জাবে আ,লীগ সহ তার বিরোধীর কাছে । ২০১২ তে গোলাম আজম যুদ্ধাপরাধীর আসামি হলে । ৯৪ তে কিভাবে আ,লীগের কাছ থেকে মন্ত্রীর প্রস্তাব পাঠায় । কি ভাবে প্রেসিডেন্ট প্রার্থী আবদুস সাত্তারকে জায়নামাজ, তসবি দিয়ে কদমবুচি করতে পাঠায় খোদ দলীয় প্রধান শেখ হাসিনা । আরো অসংখ প্রশ্ন হয়তো মাথায় আসবে নতুনদের । যার উত্তর হয়তো কেউই দিবে না ।

১৯৮০’র দশকে এবং ১৯৯০ সালে এরশাদবিরোধী আন্দোলনে এবং ১৯৯৪ থেকে ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত কেয়ারটেকার সরকারের দাবিতে বিএনপি’র বিরুদ্ধে আন্দোলনে জামায়াত ও আওয়ামী লীগ যুগপৎ আন্দোলন করেছিল । একটি সুষ্ঠ পদ্ধতিতে নির্বাচনের জন্য যখন কোন ফর্মুলাই কাজে আসছিলনা । তখন গোলাম আজম কেয়ারটেকার পদ্ধতি আবিষ্কার করলেন । কিছুটা বিরোধীতা থাকলেও একটা পর্যায় সকলেই বলতে বাধ্য হন এর থেকে ভাল দ্বিতীয় কোন পথ নেই । দেশে বিদেশে উচ্ছসিত প্রসংশা পায় । যারা একটা সময় এক সাথে আন্দোলন করে কেয়ারটোকার পদ্ধতি চালু করলেন আবার সেই তারাই তাদের স্বার্থে সেটার বিলুপ্তি করে দেন । যার খেসারত আজো দিচ্ছে বাংলাদেশ । যে গণতন্ত্র উত্তরণে ৯০-এ তার কেযারটেকার পদ্ধতি জাতিকে দিয়েছিল মুক্তির দিশা । কিন্তু অবাক করার বিষয় হচ্ছেনির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের পথিকৃত মনে করা হয় বাংলাদেশকে। এ ব্যবস্থা চালু করে বাংলাদেশ এক সময় বিশ্বে প্রশংসা কুড়িয়েছিল। আওয়ামী লীগ এ ব্যবস্থার জন্য কৃতিত্ব দাবি করলেও এই দলটিই আবার ব্যবস্থাটি বাতিল করে দিয়েছে, যার জের ধরে বাংলাদেশ রাজনৈতিক অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়েছে।
আওয়াম লীগ সরকার সংবিধান পরিবর্তন করে নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিল করে দিলেও নেপাল, পাকিস্তান, তিউনিশিয়া সহ বহু দেশই এখন এ ব্যবস্থাকে গ্রহণ করেছে। সর্বশেষ এই তালিকায় যোগ হচ্ছে তুরস্কের নাম।

ড.মুহাম্মদ শহিদুল্লাহর একটি লেখা পড়ছিলাম “যে দেশে গুণিদের কদর করতে জানেনা, সে দেশে গুণি জন্মে না” ড. শহিদু্ল্লাহ নেই তার কথা আছে । গোলাম আজম নেই তার দেখানো পদ্ধতিতে আজো সমাধান খুঁজে পায় বিশ্বের বিভিন্ন্ প্রান্তে ।

Wednesday, December 18, 2019

জামায়াতের ভবিষ্যৎ প্রতিপক্ষরা নির্ধারণ করতে পারবে না- গোলাম মওলা রনি

পূর্ণাঙ্গ ইসলামই হলো  জামায়াতে ইসলামীর আদর্শ। গোলাম মওলা রনির বক্তব্য শুনুন। কিছু হলেও প্রেরণা দেবে:  

Wednesday, July 17, 2019

সাবেক আইন প্রতিমন্ত্রী ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর বীর উত্তম-এর জামায়াত নিয়ে চাঞ্চল্যকর মন্তব্য


সাবেক আইন প্রতিমন্ত্রী ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর বীর উত্তম জামায়াত নিয়ে চাঞ্চল্যকর মন্তব্য করেছেন ফেসবুকে। ব্যারিষ্টার শাহজাহান মুক্তিযুদ্ধের সময় অসামান্য অবদানের জন্য বীর উত্তম খেতাব পান। তিনি বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা।
ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর বীর উত্তম গত ১৬ জানুয়ারী ২০১৪ তার ফেসবুক ষ্টাটাস দেন এভাবে,

I personally do not like Jamaat mainly because of their role in 1971. But at this moment when I can see almost all the journalists and intellectuals are talking lie against Jamaat than I feel I need to tell the truth. After talking with several people of several places I came to know that terrorism is being done by AL just to blame Jamaat. Moreover, after studying a lot and analyzing the current attitude of India I am convinced that 1971 war was created by India and it was a RAW project. AL and media are talking against Jamaat because Jamaat is the only organized force which can counter the Indian hegemony. The enemy of our independence in 1971 is turned to be best protector of our independence. So despite my disaproval to Jamaat politics I feel this party need to be exists as a safegurd of our independence. India has purchased our journalists, politicians, writers and army but failed to purchase Jamaat.

বাংলা করলে দাড়ায়,

১৯৭১ সালের ভূমিকার জন্য ব্যক্তিগতভাবে আমি জামাতকে পছন্দ করি না। কিন্তু বর্তমানে যখন দেখি প্রায় বেশির ভাগ সাংবাদিক এবং বুদ্ধিজীবী জামাতের বিরুদ্ধে মিথ্যা বলছে তখন আমার সত্যটাকে উদঘাটন করাটা দরকার। বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন মানুষের সাথে কথা বলে আমি জানতে পেরেছি যে জামাতকে দোষারূপ করার হীন স্বার্থেই আওয়ামী লীগ বিভিন্ন জায়গায় সন্ত্রাসী কর্মকান্ড পরিচালনা করছে। অধিকন্তু ভারতের বর্তমান দৃষ্টিভঙ্গি বিশ্লেষণ এবং গভীর অধ্যায়ন করে উপলব্ধি করলাম যে, ৭১ এর স্বাধীনতা যুদ্ধে ভারতের 'র' এর হাত ছিল। আওয়ামী লীগ এবং মিডিয়া জামাতের বিরুদ্ধে কথা বলছে কারণ জামাতই একমাত্র সুসংগঠিত দল যা ভারতীয় প্রভুত্ব ও কর্তৃত্বের বিরুদ্ধে অবস্থান নিতে পারে। ৭১-এ আমাদের স্বাধীনতার শত্রুরা আজ স্বাধীনতার রক্ষক হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। তাই জামাতের রাজনীতিতে আমার অসমর্থন থাকা সত্ত্বেও আমি অনুভব করি যে আমাদের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের অতন্ত্র প্রহরী হিসেবে এই দল থাকাটা অত্যন্ত জরুরী। ভারত আমাদের সাংবাদিক, রাজনীতিবিদ, লেখক এবং সেনাবাহিনী কিনতে পারলেও জামাতকে কিনতে ব্যর্থ হয়েছে।

Thursday, July 11, 2019

ইসলামী ছাত্র শিবিরের উদ্দেশ্যে কবি আল মাহমুদ

 [ছাত্রশিবির কর্তৃক আয়োজিত কৃতি শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠান, ২০০৪ সাল - কবি আল মাহমুদ]
(একবার ক্লিক করে ভিডিও চালু না হলে ২য় বার ক্লিক করুন)

Thursday, June 13, 2019

এতকিছুর পরও জামায়াতের লোকদের সম্পর্কে মানুষের মনে বিরূপ ধারণা নাই - সাংবাদিক মাহফুজুল্লাহ


মাহফুজ উল্লাহ (১০ মার্চ ১৯৫০-২৭ এপ্রিল ২০১৯) ছিলেন একজন বাংলাদেশি লেখক, সাংবাদিক, টেলিভিশন ব্যক্তিত্ব ও পরিবেশবিদ। বাংলাদেশে তিনিই পরিবেশ সাংবাদিকতার সূচনা করেন। ছাত্রাবস্থাতেই মাহফুজ উল্লাহ সাংবাদিকতা পেশায় কাজ শুরু করেন। ১৯৭২ সালে সাপ্তাহিক বিচিত্রার জন্মলগ্ন থেকেই এ পত্রিকার সঙ্গে জড়িত ছিলেন। মাঝে চীন গণপ্রজাতন্ত্রে বিশেষজ্ঞ হিসেবে, কলকাতাস্থ বাংলাদেশ উপদূতাবাসে কাজ করেন এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ এবং সাংবাদিকতা বিভাগে খণ্ডকালীন শিক্ষক হিসেবে শিক্ষকতা করেন। বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশের নেতৃস্থানীয় বাংলা ও ইংরেজি দৈনিকে কাজ করেছেন। রেডিও ও টেলিভিশনে অনুষ্ঠান উপস্থাপনাসহ একাধিক টক শো অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে সংবাদ  রাজনীতি নিয়ে নানামুখী বিশ্লেষণ করতেন। মৃত্যুর পূর্বে তিনি ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি সাংবাদিকতা ও গণযোগাযোগ বিভাগে শিক্ষক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তিনি সেন্টার ফর সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট নামে একটি পরিবেশবাদী সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। তিনি আন্তর্জাতিকভাবে পরিচিত একজন সক্রিয় পরিবেশবিদ ছিলেন এবং বাংলাদেশে তিনিই পরিবেশ সাংবাদিকতার সূচনা করেন। এছাড়ও তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সিনেটর এবং আন্তর্জাতিক পরিবেশবাদী সংগঠন ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন ফর কনজারভেশন অব নেচার-এর আন্তর্জাতিক পরিচালনা পর্ষদের প্রথম বাংলাদেশী সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হন।

Friday, August 17, 2018

আল্লামা মওদুদী (রহঃ) সম্পর্কে পাকিস্তান তবলীগের মুরব্বী #আল্লামা তারীক জামীল (হাফিঃ)


আল্লামা মওদুদী রহ. আলাদা কোন ফিরকা বানান নাই। পৃ‌থিবীতে মওদুদী আকিদা বল‌তে কিছুই নেই।
পাকিস্তান তাবলীগের শীর্ষ মুরুব্বি ও বিশ্ব বিখ্যাত দ্বীনের দাঈী মাওলানা তারিক জামিল আল্লামা মওদুদী রহ. এর ভূয়সি প্রশংসা করেছেন। তি‌নি ব‌লেন : আল্লামা মওদুদী রহ. আলাদা কোন ফিরকা বানান নাই। তিনি অনেক বড় হানাফী আলেম ছিলেন। তিনি আলাদা কোন ফিকাহ লিখেন নাই। তিনি সেকুলারিজমের বিরুদ্ধে ক্ষুরধার লিখনি চালিয়েছেন ও এভাবে মিল্লাতকে অনেক খেদমত করেছেন।

তিনি বলেন উপমহাদেশের দেওবন্দি আকাবীরদের কিতাব গুলি কঠিন এলমী পরিভাষায় ভরপুর ছিলো। কঠিন মানের উর্দু ছিল ওনাদের লেখাতে। সাধারন মানুষের বোধগম্যের বাইরে ছিল ওনাদের লেখা। তাই দ্বীনি বি‌ভিন্ন গুরত্বপূর্ণ বিষয় সহজ সাবলীল ভাষায় সর্ব সাধারনের বুঝার মত কিতাব লিখে খেদমত করেছেন আল্লামা মওদুদী রহ.।

তিনি হাদীস অস্বীকারকারীদের বিরুদ্ধে অনেক দামী খেদমত করেছেন। তাদের কথাসমূহ দলীল দিয়ে খন্ডন করেছেন। তিনি সোশেলিজম ও কমিউনিজম এর বিরুদ্ধে শক্ত হাতে কলম ধরেন যা ইতোপূর্বে তেমন জোড়ালো দেখা যায় নি!

- দেওবন্দী মানহাজের আলেম #আল্লামা_তারীক_জামীল_হাফিঃ
পাকিস্তান দাওয়াত ও তাবলিগের মুরব্বী।।।।।
তাঁর উর্দু বক্তব্য শুনতে নীচে ক্লিক করুন: 

Wednesday, January 18, 2017

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীকে উদ্দেশ্য করে তুরস্কের প্রখ্যাত আলেম নুরুদ্দিন ইলদিজের লেখা একটি চিঠি।

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীকে উদ্দেশ্য করে তুরস্কের প্রখ্যাত আলেম, বহু গ্রন্থ প্রণেতা নুরুদ্দিন ইলদিজের লেখা একটি চিঠি: 
এই মহাবিশ্বের মালিক, মহা শক্তিধর মহান আল্লাহ তালার সালাম বর্ষিত হোক তোমাদের উপর, হে এশিয়ার বীর সেনানীগণ।তোমাদের অন্তর আজ হযরত (রা) হামযা (রা) , হযরত সুমাইয়া (রা) , হযরত ইয়াসসির (রা) , মিহরাবে শহীদ হওয়া হযরত উমার (রা)এর ঈমানের মত ঈমানে পরিপূর্ণ হয়েছে সালাম তোমাদের সেই প্রশান্ত আত্মার প্রতি।
আজ তোমরা, উহুদের সাহসী সেই যোদ্ধাদের প্রতিনিধি, আজ যারা তোমাদেরকে নির্মূল করতে চায় তারা জানে না যে তোমাদের এই রক্ত তোমাদের উত্তরসূরিদেরকে জাগিয়ে রাখবে যুগের পর যুগ , শতাব্দীর পর শতাব্দী। তারা মৃত্যুবরণ করবে, তাদের নিশানা মুছে যাবে, তাদের নাম মানব ইতিহাসে খুজেও পাওয়া যাবে না কিন্তু পৃথিবী যতদিন থাকবে ততদিন এই মানবতা তোমাদেরকে স্মরণ করবে, তোমাদের এই ঢেলে দেওয়া রক্ত দিয়ে লিখব নতুুরিদেরকে, ভাঙ্গা কেল্লায় উঠবে ইসলামের বিজয় পতাকা, তোমাদের দেখে আসবে আর লাখো মুজাহিদ। তোমারা মানুষের অন্তরে, ফেরেশতাদের দলিলে বেঁচে থাকবে অনন্তকাল। ওরা কিয়ামাতের দিন নিকৃষ্ট হয়ে উঠবে আর তোমরা শহীদ হিসাবে বীরের বেশে কিয়ামতের দিন জেগে উঠবে।

হে এই সময়ের হামযাগন;
আব্দুল কাদের মোল্লা
মুহাম্মাদ কামারুযযামান
আলী আহসান মুজাহিদ
গোলাম আযম
আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী
মৌলানা মতিউর রহমান নিজামী .................
আপনারা মৃত্যুকে হত্যা করেছেন। এই উম্মত আপনাদেরকে কক্ষনো ভুলে যাবে না। আল্লাহ তায়ালা আপনাদের শাহাদাতকে কবুল করুন। পরবর্তী বংশধরদের মাঝে আপনাদের মর্যাদা বুলন্দ করুন।
আমরা শারীরিকভাবে হয়ত আপনাদের পাশে দাঁড়াতে পারিনি, কিন্তু আমরা আপনাদেরকে ভালবাসি, অন্তর থেকে মহব্বত করি, আমরা আপাদেরকে দেখে ঈর্ষান্বিত হই। আমরা আপনাদেরকে আল্লাহ তালার কাছে সঁপে দিলাম। আল্লাহ তালার কাছে দোয়া করি আল্লাহ তায়ালা আপনাদেরকে যেন হামযা (রা) এর সাথে রাখেন সকল শহীদদেরকে এক সাথে রাখেন।

আল্লাহ আপনাদের পথ খুলে দিন। আল্লাহ আপনাদের মর্যাদাকে আকাশের সমান বুলন্দ করুন। ফেরেশতাদের মত ডানা মেলে ঘুরে বেড়াও আরশে আযীমে। আমাদেরকেও সাথে রাখতে ভুলবেন না, আমাদেরকেও নিয়ে যান আপনাদের কাছে ।
তোমাদের উপর সালাম হে এশিয়ার বীর সেনানীরা।
হে উম্মতের সেনাপতিগণ, অগ্রগামী বীর সেনানীরা সালাম তোমাদের উপর সালাম।

Popular Posts